মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকা তৈরির জন্য সংসদে একটি আইন প্রস্তাব করা আছে। এটি অনুমোদিত হলে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় বিষয়টি দলকে অবগত করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে রাজাকারের সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করা রাষ্ট্রের জন্য অমর্যাদাকর এবং রাজাকারের সন্তানদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া দুঃখজনক ও বিব্রতকর।

মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে রাজাকারের সন্তানরা যখন নির্বাচিত হয়, তখন তাদের প্রতিহত করার সুযোগ থাকে না সরকারের। তাই সাধারণ মানুষকে রাজাকারের সন্তানদের ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রাজাকারের তালিকা প্রকাশ না হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। আওয়ামী লীগের থেকে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন না করা দলগুলো। ফলে দেশের সব সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান করা ব্যক্তিরা খুঁটি গেড়ে বসে ছিল। তারা রাজাকারের তালিকা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

এর আগে, বরগুনার ১ হাজার ২৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা। সেই সঙ্গে ১০০ জন অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসা সহায়তা, ১০০ জন আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা, ১০০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ১০০ জন অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিতরণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা। একটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও দুটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আগে সকাল ১০ টায় বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজে দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়।